শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দ্রুতগতিতে আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সব শহরের দখল নিয়েছে তালেবান। তাদের সামনে বাকি ছিল রাজধানী কাবুল। অবশেষে এটির দখল নিতে শহরে প্রবেশ শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। তবে তার আগে এক বিবৃতিতে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কাবুল দখলে তারা ‘শক্তি প্রয়োগ করতে চায় না’। খবর আল জাজিরার
রবিবার ভোরে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের রাজধানী শহর জালালাবাদ দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। এরপরই তারা চারদিক থেকে কাবুলে প্রবেশ করতে শুরু করে।
কাবুলে বিদ্রোহীদের প্রবেশের খবর তালেবানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, কেউ যদি কাবুল ছাড়তে চায় তাহলে তাকে নিরাপদ রাস্তা করে দেয়ার জন্য যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন তালেবান নেতারা।
রবিবার সকালে জালালাবাদ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরই যেকোনো সময় তারা কাবুলে প্রবেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছিল। জালালাবাদের সঙ্গে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ রয়েছে।
রবিবার কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান এক নেতা যোদ্ধাদের হিংসা থেকে বিরত থাকার এবং কাবুল ত্যাগ করতে ইচ্ছুকদের নিরাপদ রাস্তা তৈরি করে দেয়ার নির্দেশ দেন।
তবে তালেবানদের রুখতে আশরাফ ঘানি সরকার পাল্টা আক্রমণ করবে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
কাবুলে প্রবেশের আগে এক বিবৃতিতে তালেবান বলেছে, তারা তাদের বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে কাবুলের গেট অতিক্রম না করতে এবং জোর করে শহর দখল না করতে।
পরিবর্তে তারা বলে, ‘কারও জীবন, সম্পত্তি এবং সম্মানে আঘাত না করে নিরাপদে তাদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য আলোচনা চলছে।’
এছাড়া তালেবান ব্যাংক, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে আরেকটি বিবৃতিতে বলেছে যে, তাদের সম্পত্তি, অর্থ এবং প্রতিষ্ঠানগুলি সশস্ত্র গোষ্ঠী আক্রমণ করবে না।
তবে তালেবানের আশ্বাস সত্ত্বেও, লোকেরা শহরের রাস্তা ছেড়ে চলে যাচ্ছে এবং বাড়ি যাওয়ার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।